সাধারণত অবিশ্বাস আর ভুল বোঝাবুঝির কারণে নারী-পুরুষ পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হয়ে থাকে। তবে এর জন্য সব সময় পুরুষদেরকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে। কিন্তু চিরকালই পরকীয়ার প্রেম-ভালবাসার নিষিদ্ধ হাতছানির ডাকে সাড়া দিয়েছেন বহু পুরুষ ও মহিলা। কিন্তু হালের একটি সমীক্ষা বলছে, পুরুষ নয় পরকীয়াতে বেশি আগ্রহী মহিলারা।

জানা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে বহুগামিতা অনেকটাই জেনেটিক, তারপর মনোদৈহিক, আর্থ-সাংসারিক, পারিপার্শ্বিক, উচ্চাকাঙ্খা, পণ্যপ্রাচুর্য জীবনের হাতছানি ইত্যাদি। বর্তমান বিবাহ প্রথা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বিভিন্ন বিবাহ রীতি প্রচলিত ছিল। সমকালে মানসিক শান্তি, মতের অমিল, ফান থেকে ফাঁদ, অল্প বয়সে বিয়ে, যৌন অসন্তোষ ছাড়াও আর্থিক ফায়দা, ক্যারিয়ারের উন্নতি, সামাজিক মর্যাদা প্রভৃতির প্রলোভন নারী পুরুষ উভয়ই বিয়ের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারে।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কিছু বছর আগেও পরকীয়া শব্দটি যত নিষিদ্ধ ছিল, এখন আর ততটা নেই। সম্প্রতি ‘গ্লিডেন’ নামক একটি বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ সম্প্রতি এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই অ্যাপটি মূলত তৈরি হয়েছে মহিলাদের উদ্দেশ্যে। এবং বলে রাখা ভাল এই অ্যাপটির বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ১৩ লক্ষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সি শহুরে, শিক্ষিত, আধুনিকা, কর্মরত মহিলাদের উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যে প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলা পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে আরও একটি তথ্য উঠে আসছে যে এই ৪৮ শতাংশ মহিলা প্রত্যেকেই একজন মা।

এদিকে, গ্লিডেন ছাড়াও আরও দু’-একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে প্রায় ৭২ শতাংশ মহিলা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন দাম্পত্যে সম্পর্কে যৌন অতৃপ্তি থেকেই। গ্লিডেনের ২০২০ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে প্রায় ৫৫ শতাংশ বিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশ নারী।

অবাক করার বিষয় হলো, ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি প্রায় ১৫২৫ বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে করা এই সমীক্ষায় প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলা স্বীকার করে নিয়েছেন যে একই সময় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত থাকার বিষয়টি। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত তোলপাড় চলছে। তবে মোবাইল ফোন, ফেসবুকসহ নানা প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়, তাই আজকাল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক সহজ।